একা হয়ে যাওয়ার ভয় ছিলো,
একাকিত্ব গ্রাস করে দিচ্ছিলো,
ফিরে আসার আশা ছিলো না,
ভেঙে দেয়া ভয়, বাস্তবতা আর কিছু অভিযোগ।
কেউ আসেনি, যে ফোন এখন ইচ্ছে করে বন্ধ থাকে,
সে সময় গুলোতে অপেক্ষা ছিলো কিছু মানুষ হয়তো খোঁজ নিবে।
কি ভীষণ নিষ্ঠুর মানুষ ছিলো তারা,
একটি বার ফোনটা বেজে ওঠেনি ভুলে,
ভুল করেও খোঁজ নেই নি ভীষণ বিপদে।
একাকী, ভীষণ একাকিত্ব এর ভয় ঘুরে ফিরে আঁকড়ে ধরতো আমাদের।
দুনিয়া স্থির হয়ে আছে সেখানেই, সেই সালে।
সবাই এগিয়ে গিয়েছে,
সবার সব হয়েছে।
পেয়েছে সব, তা নিয়ে মিষ্টি মধুর অভিযোগ আছে।
স্থির হয়ে দেখছি সব,
ভাবছি অবহেলা আর বিশ্বাস ভেঙে দেয়া সময়ে নিষ্ঠুরতা নিয়ে।
খুব সহজে বলে, আমি আমার মাথার মধ্যে বাঁচি,
আর কতো দিন একই কথা, একই সময় নিয়ে পরে থাকব,
কবে মুভ অন করব।
আমিও ভাবি এরা সব পায় যা তারা চায়,
এদের সবাই চায়,
সব আছে, তারা কি করে বুঝবে কিছু না পেলে মুভ অন কি ভাবে করবে?
তাদের বিয়ে হয়েছে, সংসার হয়েছে,সুখ হয়েছে,
চাকরি হয়েছে, সকল শর্ত পূর্ণ করে মানুষ এসেছে চোখের পলকে।
তাদের মাথার উপর ছায়া আছে, প্রভুর কৃপা দৃষ্টি রয়েছে হাত বাড়ালেই সোনা পেয়েছে।
তাদের কাছে মুভ অন এক ডিসেম্বরের তারিখ মাত্র,
তাদের কাছে বিশ্বাস করা কঠিন,
কি করে বেঁচে থাকা যায় মুভ অন করা যায় না?
কি করে সময় চলে যাওয়ার পরেও ভুলে যাওয়া যায় না?
কি করে মাথার ভিতর থেকে বের হওয়া যায় না?
তারা জানেনা মাথার ভিতর প্রশ্ন পর্ব চলে,
উত্তর পর্ব চলে।
চলে ঠিক ভুলের হিসাব।
চলে কঠোর সমালোচনা,
চলে ঠিক নিভে যাওয়া দিনগুলোর করুণ আর্তনাদ এর কথা।
কি করে মুভ অন করা যায় এতো সহজে?
কি করে তারা সুখী হয় এতো সহজে?
কি করে তারা সব পায় এতো সহজে?
সময় গুলো এলোমেলো করে দেয়।
বুকের ভিতর ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এসব এর জন্য বেঁচে থাকা হয় না।
এসবের জন্য মুভ অন করা হয় না।
এসবের জন্যই তাদের মতো খুব সহজে অন্যের গন্ধ মাথতে পারিনা।
এসব এর কারনেই মাথা থেকে বের হয়ে ওঠা হয় না।
এসব এর কারনেই কল্পনায় দেখা হয় , বাস্তবতায় দেখা হয় না।
-সুগার টি