জীবনের চলার পথে দেখা হওয়া কিছু মানুষকে কতটা ঘৃণা করলে জান্নাতেও তাদের মুখ দেখতে চায় না মানুষ?
কতটা?
যার ফোন কলের আশায় জীবন পার করে দেয়া যেতো।
তার দেয়া নাম্বারে মতো কাছাকাছি নাম্বার থেকে কল এলেও বিরক্ত হওয়া কতোটা ঘৃণার লক্ষন?
আমি আর তারা এই দুনিয়াতেই আছি।
তারা ভালো আছে।
আর আমি আছি অসহনীয় কষ্টে।
ঠিক কি এমন করে তারা যে সুখ কিনে নেয় সহজে?
আর আমি অপেক্ষমান লাইনে?
কেন ভালবাসে তাদের সবাই আর আমি অপরাধ না করেও ভালবাসা খুঁজে যাই?
কেন সবাই তাদেরকেই চায় যেখানে তাদের কাছে যাওয়াই বিপজ্জনক।
দুনিয়া, আখেরাত, হাশরের দিনেও আমি দেখতে চাই না তাদের।
করতে চাইনা কোন হিসাব।
করতে চাইনা কোন মিমাংসা।
জানতে চাইনা তাদের কথা।
তারা ভালই কথা জানে,
ঘুরিয়ে প্যাচিয়ে দোষ দিবে আমায়।
তারা প্রমান করতে চাইবে তারা সাধু আমিই অসাধু।
যদিও সেদিনের হিসাব এই দিনের হিসেব এক হবে না।
সেদিন কোন কিছুই বাদ যাবে না।
তবুও তাদের মুখোমুখি হওয়াতেই আমার ঘৃণা।
দুনিয়ায় প্রভুর কৃপা দৃষ্টি তাদের দিকে।
না হলে কেনই বা তারা সব কিছু পায় খুব সহজে।
আর আমাকে অপেক্ষা করতে হয় অশ্রু জল নিয়ে।
ক্ষমা তো খুব কঠিন বিষয়।
তাদের শ্বাস নেওয়াও আমার পছন্দ নয়।
তবুও তাদের জন্য বদদোয়া আমি করিনা।
ক্ষতি হোক এমন প্রর্থনাও করিনা।
সুখের খবর কানে এলেও মুখ শুকিয়ে ফেলিনি।
আমি শান্ত জলে মতো।
দেখে যাই সব কিছু।
সময়ে সাথে কথা হয় প্রতিদিন।
আমার জীবনের কঠিন সময়ে তারা করেছে আমাকে অসহায় থেকে অসহায়।
এখন তাদের সুখের সময়।
কষ্ট কি তা এখন অনুভব কর অসম্ভব নয়।
জলের সাথে সময়ের মিলন হলে ভেসে যাবে সব।
অসহায় করে দেয়া, অনুভূতি নিয়ে খেলা করা সব কিছুই পেয়ে যাবে সুদে আসলে।
তাই এখন আমার শুধু সময়ের সাথে কথা হয়।
-সুগার টি
