কঠিন সময় শক্ত মানুষ হতে বাধ্য করে,
এমন ভাবে যেখানে প্রতিবাদের সুযোগ পর্যন্ত পাওয়া যায় না।
কঠিন সময় নীতিবাক্যের পাঠ্যক্রম অনুযায়ী জীবন চালানোর সুযোগ দেয় না।
ভাবা যায় কিন্তু ভেবে নিয়ে তা না করে অন্য কিছু করা অন্যায়।
নীতিমালা প্রয়োগ করার ইচ্ছার মাঝে দোটানায় থাকা যায় না।
দোটানায় জীবন চলে না।
দোটানা প্রিয় মানুষ হারানো থেকেও যন্ত্রণার।
কি ভালবাসি আর কি ভালবাসতাম তার মাঝে বিস্তার তফাৎ।
কথার মাধুর্য হারায়, কেউ বা মাধুর্যহীন কথাতেই শান্তি খুঁজে পায়।
যাকে ছাড়া বেঁচে থাকার কথা ভাবা যায় না।
তাকে ছাড়াও বেঁচে থাকা যায়।
সময় চলে যায়, ব্যাস্ততা বেড়ে যায়।
পিছনে ফিরে তাকানো হয় না।
জটিলতা বাড়ে, ভালবাসা গোপন থেকে যায়।
যতই সামাজিকতা অর্থহীন লাগুক,
তার পাশে যে আছে,
আমার পাশে যে থাকে,
তারা কেউ আর এক না।
আজও কিছু মানুষ কাউকে হারায় যে কিনা সমস্তটাই নিয়ে চলে যায়।
আবেগহীন করে দেয়, মাধুর্য নিয়ে যায়,করে দিয়ে যায় ব্যাস্ত।
দিয়ে যাওয়া সেই ব্যাস্ততাই বাঁচতে শিখায়।
অনুভূতিহীন ব্যাস্ত আমাদের শহর।
পিছিয়ে যাওয়া কাজে ঘোর অন্ধকার থেকে অন্ধকারে যেতে থাকে।
আলোর দেখা পায় না।
যাকে সে হারিয়েছে তার কাছেই ছিলো তার আলো,
সেই আলো আর নিজের করা যায় না।
সামাজিক জীবন, সামাজিক বন্ধন সামাজিক থেকে যায়।
দাওয়াত আর বিছানার এপাশের ওপাশের অশরীরী ছায়া খুঁজে দিন পার হয়ে যায়।
তার মাঝে হারিয়ে যাওয়া মানুষের অশরীরির মায়া খুঁজে হতাশ হয়।
যা কিছু হারায় তা একে বারেই হারায়।
আর খুঁজে পাওয়া যায় না।
প্রয়োজন ও অপ্রয়োজনের হিসেব করা রেশনাল মানুষ তারাহুরো করে পর হয়ে যায়।
যোগ্য ও অযোগ্য ইত্যাদির লাভ ক্ষতির হিসেব করে জীবনে নতুন করে হাটতে শেখায়।
ঘোর অন্ধকার থেকে অন্ধকারে হারিয়ে যায়।
মানসিক জীবন, মানসিক বন্ধন, মানসিক শান্তি কাল্পনিক থেকে যায়।
কথার মাধুর্যহীনতা পছন্দ নয়,
তবুও নিজের কথায় মাধুর্য খুঁজে হয়রান হয়ে যায়।
-সুগার টি