নদীর স্রোতে হিসেব নিকেশ ছাড়াই কাগজের নৌকা ছেড়ে দেয়া হয়েছে নদী ঘাট থেকে।
কাগজের নৌকা স্রোতের টানে জলের স্পর্শে নেতিয়ে পড়েছে।
যতক্ষণে হুস হয়েছে নৌকা নদীর গভীরে স্রোতের টানে মিলিয়ে গিয়েছে অজানা শহরে।
অতি দ্রুততা, অতি অস্থিরতা অতি অতি সব মিলিয়ে গিয়েছে স্রোতের মহিমায়।
এই তো আমি, এখানেই আছি।
ছোট বড় স্বপ্ন নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখছি।
টুকটাক অভাব নিয়ে অপেক্ষাহীন ছোট্ট জীবন পার করছি অভিযোগহীন ভাবে।
সকালে, দুপুরে বা বিকালে কোন বেলাতেই আমার তারাহুরো নেই।
কারোর আমাকে নিয়ে অভিযোগ নেই।
আমি যেমন তেমনই ভালো, নেই তো কেউ ভুল ধরার,
কেউ নেই আনুগত্যের নামে অত্যাচার করার।
আমি ভালো আছি।
কষ্টে আছি, অভাবে আছি, ব্যস্ততায় আছি,
সময়ে এক এক মিনিট এর হিসেবে জন্য ঘড়ির মধ্যে চোখ লাগিয়ে রাখি।
ঝামেলা বা অশান্তি দেখলে চিন্তা করি স্থির হয়ে।
কি কি করনীয় আছে?
করলে কতটা কাজে দিবে?
যদি দেখি করনীয়তে সফলতার অভাব আছে,
তবে মুচকি হাসি দিয়ে সময়ের অপেক্ষা করি।
সময়ের সাথে সাথে নিজের দুর্বলতা গুলো মেনে নিতে শিখেছি।
নিজের নিয়ন্ত্রণ শিখেছি।
কিন্তু সেই যে ভালবাসা ছিলো না, সেই ভালবাসা আজো নেই।
যা কিছু নতুন আবির্ভাব হচ্ছে, আমি জানি এ শুধুই কল্যাণের কামনায় করতে চাওয়া কিছু ঘটনা।
সংসারের ব্যস্ততায় ফেলে আসা সময় গুলো মনে পরে,
অজানা ভয়ে লুকিয়ে থাকা মানুষ মনে মনেই হাজার বার মরে।
এটা সেটা অনেক কিছু করতে চায়, দোয়াতে রাখে, দানেতে রাখে।
মন আর জীবন বাদে সব স্থানেই সময় গুলো আছে নির্লজ্জ ভাবে।
সময় গুলো কিন্তু কিছুতেই থাকতে চাইনা।
তবুও সময় গুলো আর কখনো মুক্তি পাবে না।
তবে সত্য বলতে এসব নিয়ে এখন আর কিছু করারো নেই।
দুনিয়ায় অনেক কিছুই হতে পারে।
সব কিছুই স্বাধীন ভাবে ঘটতে থাকে।
এতো কিছু পরিবর্তন করতে চাওয়ার মাঝে পাওয়া কি হবে?
যা ছিলো তা থাকুক আমাদের হয়ে।
-সুগার টি