ভীষণ রৌদ্র লাগে চোখে। জানালার কাঁচে আবছায়া হয়ে নিজের মুখশ্রী ভাসে। রৌদ্র নরম হয়ে গোধূলিতে রূপ নিয়েছে। অচেনা আলোয় চেনা যাচ্ছে না আকাশ। নতুন রূপ নিয়ে নতুন গল্প বলে। অনেক আলোর আনা গোনায় আকাশ হয়েছে আলোকিত। আকাশের মুখশ্রী উজ্জীবিত উজ্জ্বলতায়। আর আমি নিজেকে লুকিয়ে রাখি গোপন ডাক বাক্সের কোনায়। নিজ মুখশ্রী দেখি না কতো দিন। কতো দিন বাহির দেখি না। কতো দিন আলোর লুকোচুরি দেখি না। আকাশের রঙ বদলানো দেখি না। পৃথিবী আমার অদ্ভুত থেকে অদ্ভুত হয়েছে সময়ের ব্যবধানে, কখন এই পৃথিবী নির্মম থেকে অস্পষ্ট হয়েছে, তা ঠিক করে বলা যাচ্ছে না। লেখা হয়নি কতো কথা, বলা হয়নি কতো অনুভূতি, ঠিক ভুলের হিসেবেই কেটে গেলো দুপুর। দুপুর গিয়ে ঠেকেছে গোধূলি বেলায়। তবুও আপন আমার এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া হলনা আর। চিঠি আসে না ডাক বাক্সের ঠিকানায়। পত্র দেয়া নেয়ার দিন এখন অতীত। হাতে লিখে কষ্ট করে প্রকাশ করা হয় না অনুভূতি। অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম এখন সহজ। চাইলেই নাকি কথা হয় এপার থেকে ওপারে , এপাশ থেকে ওপাশে। কিন্তু এতো সহজের মাঝেও আজো কঠিন সব কিছু বলে দেয়া তাকে। যার কাছে যেতে মন সিক্ত হয় অশ্রুতে, তার কাছে যাওয়ার পথ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। যোগাযোগ সহজ হলো কই? যদি প্রিয় কাউকে প্রিয় বলা না যায়, প্রিয় মানুষের কাছে যাওয়া না যায়, তবে সহজ বলছ কোন যোগাযোগ মাধ্যম কে? ডাক বাক্সের ভেতর ফাঁকা থেকে যায়। অনুভূতির আজো অজানা অচেনা দিক হারা হয়ে ঘুরে বেড়ায়। যে সহজ মাধ্যম সহজ করল না আমাদের যোগাযোগ, যে মাধ্যম আজো ঠেকাতে পারলনা আত্মহনন, সেই মাধ্যম সহজ মাধ্যম নামে হতে পারে। তবে প্রয়োগ আজো কঠিন ব্যাক্তি নির্ভর করে। আকাশ জুড়ে হাজার ঘুড়ি ছিলো সেদিন। গল্প শুনেছি এক এক ঘুড়ি এক এক রকম। আজ আকাশ দখল করে আছে একটা মাত্র ঘুড়ি। আকাশ জুড়ে আছে গোধূলির অদ্ভুত আলো। কিন্তু আজো আমার থাকা হয় ডাক বাক্সের ভেতর। -সুগার টি